বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
শিরোনাম

অন্তর্বর্তী সরকারের ১ বছর ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী

সকাল ৫:৩৫ - বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রতিবেদক : রাসেল আহম্মেদ

অন্তর্বর্তী সরকারের ১ বছর ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী
Logo

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে এক বছর পার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চরম বৈরী পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিতে হয়েছিল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে। সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণে অভ্যুত্থানে দেশ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশাও ছিল অনেক। এক বছর শেষে মূল্যায়নের কষ্টিপাথরে অর্জন ও ব্যর্থতার হিসাবের মুখোমুখি অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার। বিশিষ্টজন ও সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, এ সরকার গত এক বছরে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। যদিও এগারোটি সংস্কার কমিশন গঠনসহ আইন সংশোধন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার চেষ্টা ছিল সরকারের। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো সফলতা তারা দেখাতে পারেনি। জনপ্রশাসন সেই তিমিরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। স্থবিরতা কাটিয়ে গতি ফেরেনি প্রশাসনে। এ সরকারকে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ক্রমাগত ব্যর্থতা সরকারের অন্যসব অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। তবে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের দাবি-দাওয়া আদায়ের লাগামহীন আন্দোলন, অনভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনাসহ নানা চ্যালেঞ্জও ছিল সরকারের সামনে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জন রয়েছে তাদের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গঠন করা ১১টি সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়েছে। জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের সহায়তার কাজও অনেকদূর এগিয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুতত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন (৮ আগস্ট) শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন। পরে আরও চারজন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন। সর্বশেষ গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনজন উপদেষ্টা যুক্ত হন। অন্যদিকে ২০ ডিসেম্বর বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মারা যান। এখন এ সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা ২৩ জন। বেহাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ম্লান সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার মধ্যেই দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর বাহিনীগুলোর পুনর্গঠনের কাজে হাত দিলেও পরিস্থিতির উন্নয়নে খুব একটা সফলতা আসেনি বলে মনে করা হয়। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি পুরোদমে ফিরে এসেছে। চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। খুনোখুনি, ধর্ষণ, ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায়ই আলোড়ন তুলছে। সচিবালয়ের মতো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপদ জায়গায় দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারীদের জোর করে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। হয়েছে ভাঙচুরের ঘটনাও। এ সরকার ‘মব’ ঠেকাতেও ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মবের মাধ্যমে একটি শ্রেণির আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেই চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে তাদের অর্জন আছে। গতি ফেরেনি প্রশাসনে সরকার দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়েছে। কাউকে ওএসডি করা হয়েছে, কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। কারও কারেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত বিবেচনায় অনেক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এগুলো দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিতর্কের মুখে অনেকের নিয়োগ, পদায়ন বাতিলও হয়েছে। ভুলগুলো শুধরে নিতে দেখা যাচ্ছে বারবার সিদ্ধান্ত বদল। অনভিজ্ঞতা এ সরকারের বড় দুর্বলতা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এক বছরেও কাঙ্ক্ষিত গতি ফেরেনি প্রশাসনে। দীর্ঘদিন অনেক মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে কর্মকর্তা পদায়ন করতে পারেনি সরকার। শীর্ষ কর্মকর্তা না থাকায় অন্তত দশটি মন্ত্রণালয়ে কাজে ধীরগতি ছিল। এখনো বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়ের রুটিন কাজের বাইরে কোনো কার্যক্রম বা উদ্যোগ নেই বলে জানা গেছে। প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছরের প্রতিটি মুহূর্তই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগোতে হয়েছে এ সরকারকে। এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সরকারের সময়ে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে আন্দোলন শুরু করেন। শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই নন, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের নানা দাবির মুখেও কোণঠাসা ছিল সরকার। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা এক মাসেরও বেশি সময় আন্দোলন করেন কর্মচারীরা। রাজনৈতিক দলগুলোরও অসহযোগিতা মাঝে মাঝেই চরম অসহায় অবস্থায় ফেলেছে সরকারকে। মব ভায়োলেন্স দমন ও নানান ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে সরকারকে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিও মাঝে মাঝে বিপাকে ফেলছে সাধারণ মানুষকে। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মান ধরে রাখা নিয়েও চাপে রয়েছে সরকার। সরকারকে কয়েকটি বন্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। সর্বশেষ রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা সরকারকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ১১ সংস্কার কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ মোট ১১টি কমিশন গঠিত হয়। সবগুলো কমিশন এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এছাড়াও ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, এ সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের মধ্যে যেগুলো আশু বাস্তবায়ন করা দরকার সেগুলো নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে আইন উপদেষ্টা ১২১টি সুপারিশ আশু বাস্তবায়নযোগ্য চিহ্নিত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান। এগুলোর মধ্যে মোট ১৬টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৮৫টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ১০টি সুপারিশ আংশিক বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর ১০টি বাস্তবায়নযোগ্য কি না, সেটা এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। অর্জন যেখানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের অর্জনের বিষয়টি অনেকেই স্বীকার করেন। চরম বিপর্যস্ত ব্যাংক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে প্রায় অর্ধেকে নামানো হয়েছে। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে (যা ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন), রেমিট্যান্সে রেকর্ড ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি, বহু বছর পর টাকার মান ডলারের বিপরীতে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে (যেমন হানদা গ্রুপের ২৫ কোটি ডলারের টেক্সটাইল বিনিয়োগে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান) এবং আগের সরকারের চেয়ে দ্বিগুণ এফডিআই প্রবাহ। বিশিষ্টজনদের মূল্যায়নে এক বছর প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের এক বছর মূল্যায়ন করে সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান সরকার পেপার ওয়ার্ক হয়তো খারাপ করেননি, ওনারা এক্ষেত্রে ভালো করে করেছেন। তারা যে কমিশনগুলো করেছে, তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে- এগুলো পেপার ওয়ার্ক। বাস্তব কাজ বা অপারেশনার ওয়ার্ক যদি বলেন তাহলে আমি খুব একটা সফলতা দেখি না এ সরকারের।’ তিনি বলেন, ‘সিভিল সার্ভিসের বিশৃঙ্খল অবস্থা এখনো ঘোচেনি। স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি দূর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি- এগুলোতে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই। পেপার ওয়ার্কের ক্ষেত্রে ওনারা চেষ্টা করেছেন, কিছু কাজ করেছেনও। এখন সেটা কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সেটা দেখতে হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলেও সেটার কৃতিত্বও ওনারা পাবেন।’ ‘তাদের কিছু নিয়োগ সাংঘাতিকভাবে বিতর্কিত হয়েছে। সেটা রাজনৈতিক ও আমলা দুই পর্যায়েই। এখন একটা কাজ ওনাদের সামনে আছে, সেটা হলো নির্বাচন। এটা যদি ওনারা ভালোভাবে করতে পারেন, তাহলে হয়তো ওনাদের নিয়ে ভবিষ্যতে সমালোচনা কম হবে। এটা করতে না পারলে ওনাদের সমালোচনার পাল্লাই ভারী হবে।’ বর্তমান সরকার কিছু আবেগী কাজও করেছে মন্তব্য করে আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে যে জটিলতা তৈরি করেছে, অনেকে মনে করেন এটা চীনের সঙ্গে বেশি মাখামাখির কারণে।’ সরকার উপদেষ্টা ও আমলা পর্যায়ে জনবলটা একেবাবেই গোছাতে পারেননি জানিয়ে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘যাদের চুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের নিয়ে বিতর্ক আছে। পদোন্নতিতেও বিতর্ক আছে। অনেকে মনে করে ন্যায়বিচার হয়নি। আপনি যখন রাষ্ট্র চালাতে যাবেন, তখন শুধু পরিচিত মুখ খুঁজলে হবে না। কারণ, পুরো দেশটা আপনার, কাজেই পুরো দেশ কীভাবে ভালো চলবে, সেই উপায় আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করেন আওয়ামী লীগ আমলাতন্ত্রের একটা সিন্ডিকেটের খপ্পরে ছিল, ওনারাও আমলাতন্ত্রের একটা সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়েছেন। সেটা হলে তো আর তাফাৎ কী থাকলো।’ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক এ সচিব আরও বলেন, ‘ওনাদের (সরকার) কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, যে কারণেই হোক ওনারা সেটা পূরণ করতে পারেননি। নিঃসন্দেহে তাদেদের অনেক চ্যালেঞ্জও ছিল। একটা ভাঙাচোরা অবস্থা তারা পেয়েছে। এ অবস্থাটাকে চাঙ্গা করার জন্য যেমনটা প্রত্যাশা ছিল, সেখানে বিচ্যুতি রয়েছে।’ ‘একটা স্মার্ট গ্রুপ প্রয়োজন ছিল, সেটা তারা সাজাতে পারেননি। আর সমন্বয়েরও অভাব ছিল। উপদেষ্টাদের কাজকর্মে কথায় সমন্বয়হীনতা ছিল। ওনারাও সিভিল সার্ভিসের একটি গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে গেছেন। জিম্মি হলে গেলে আর ভালো কাজ করা যায় না।’ জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সঠিক কর্মপরিকল্পনা করতে পারেনি। তাদের উচিত ছিল- আমরা এক বা দুই বছর থাকবো, এসময়ে এই এই কাজগুলো করবো। এটা করতে গিয়ে যদি ফেল করি, তবে ওটা করবো। কিন্তু সেই কর্মপরিকল্পনা না থাকাটাই তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।’ তিনি বলেন, ‘আন্দোলন, মবসহ বিভিন্ন কারণে জনপ্রশাসনের নিরপক্ষ ও সাহসী কর্মকর্তারা চুপ হয়ে গেছেন। তাদের যেটুকু সার্ভিস দেওয়ার কথা, সেটা থেকে তারা বিরত থেকেছেন। এ ফাঁকে যারা সুবিধাবাদী ও দুর্নীতিপরায়ণ তারা সামনে এসে গেছে। সরকার তাদের নিজেদের পছন্দমতো লোকদের নিয়োগ করেছে। এটা করার কারণে জনস্বার্থ সংরক্ষণ হয় এমন কোনো কাজই করতে পারেনি।’ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন অন্য কমিশনগুলো থেকে নিম্নমানের মন্তব্য করে সাবেক এ আমলা বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এমন কতগুলো সুপারিশ করেছে, যেগুলো বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও জনপ্রশাসনের সক্ষমতা দেখতে হবে। যেখানে ক্যাডার বিরোধ আগে থেকেই আছে, তারা সেটাকে আরও উস্কে দিয়েছে। কমিশন তাদের সঠিক ভূমিকাটা রাখতে পারেনি।’ ‘প্রশাসনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও এনজিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। যারা অপেক্ষাকৃত নিরপেক্ষ ও সৎ, তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে একই অবস্থা হয়েছে। এসব কারণে প্রশাসনটা দুর্বল হয়ে গেছে।’ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘এখন জনপ্রশাসনের যে অবস্থা, তাতে এ প্রশাসন এক দশকেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না আমরা সন্দেহ আছে। প্রশাসন আগেই খারাপ অবস্থায় ছিল, লেজুড়বৃত্তি ও দুর্নীতিতে ডুবে ছিল। ওই গ্রুপটা তো গেছে। তাদের মধ্যেও তো অপেক্ষাকৃত নিরপেক্ষ ও দক্ষ কর্মকর্তারা ছিলেন, এ সরকার তাদের বাছাই করতে পারতেন। গণহারে সবাইকে একভাবে দেখা ঠিক হয়নি।’ অধ্যাদেশগুলো প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অদক্ষতা ফুটে উঠেছে জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘যে অধ্যাদেশগুলো করা হয়েছে, একটি আইনও শুদ্ধভাবে করতে পারেনি। বিশেষ করে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, এটা নিয়ে এত আন্দোলন হলো। এরপর এটি আবার সংশোধনও হলো। এখনো এ অধ্যাদেশে মারাত্মক ভুল রয়ে গেছে। এটি সংবিধানের ১৩৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। এখানে যেসব ভুল করেছে সেটা একটা বাচ্চাও করবে না।’ ‘তাদের ছোটখাটো অর্জন আছে। বড় কোনো অর্জন দেখছি না। আর্থিক খাতে একটু ভালো দিক আছে, মন্দের ভালো’- বলেন ফিরোজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময়ের নির্বাচনগুলোর সঙ্গে কি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জড়িত ছিল না? ডিসি, এসপিদের সাপোর্ট তো দিতো নির্বাচন কমিশনের লোকজন। নির্বাচন কমিশনে কি শুদ্ধি অভিযান হয়েছে? দুদকেও কী চার কমিশনারই শুধু ভুয়া মামলা, দায়মুক্তি দিয়েছে, এর পেছনে কি কর্মকর্তারা জড়িত ছিল না? সেখানে কি শুদ্ধি অভিযান হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও দুদকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা উচিত।’ যা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ৮ আগস্ট সরকারের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এরমধ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, প্রশাসন ভেঙে পড়া, মোটাদাগে বড় বড় জায়গায় সরকারের একটু ব্যর্থতা দৃশ্যমান, যেটা মানুষ বলছে, গণমাধ্যমেও আসছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আমি একমত নই। আমরা কিছুদিন আগে গত সাড়ে পাঁচ বছরের অপরাধের পুরো পরিসংখ্যান দিয়েছি। ওই পরিসংখ্যান কিন্তু প্রমাণ করে না আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি একটা-দুইটা খুব সেনসেশনাল মার্ডার হলে, অনেকে ভাবছেন বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বুঝি ভেঙে পড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সকে বলে দিয়েছি পুরো স্বচ্ছ থাকতে। তারা প্রতি মাসের পরিসংখ্যান দিচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর
রাবিতে শিবির অনুপ্রবেশ ও সাইবার বুলিং ইস্যুতে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন, বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে মামলা
রাবিতে শিবির অনুপ্রবেশ ও সাইবার বুলিং ইস্যুতে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন, বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে মামলা
তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নুর-লুৎফরের ওপর হামলা প্রমাণ করে শেখ হাসিনার দোসররা এখনো সক্রিয়: শামসুজ্জামান দুদু
নুর-লুৎফরের ওপর হামলা প্রমাণ করে শেখ হাসিনার দোসররা এখনো সক্রিয়: শামসুজ্জামান দুদু
সরকার বদলের পর রেমিট্যান্সে রেকর্ড জোয়ার: আট মাসেই ২,১৪৬ কোটি ডলার
সরকার বদলের পর রেমিট্যান্সে রেকর্ড জোয়ার: আট মাসেই ২,১৪৬ কোটি ডলার
“ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে থামানো যাবে না”— কুমিল্লায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
“ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে থামানো যাবে না”— কুমিল্লায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মামলায় আজ রাজসাক্ষী হচ্ছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মামলায় আজ রাজসাক্ষী হচ্ছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, রয়ে গেছে কিছু জটিলতা: ঢামেক পরিচালক
নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, রয়ে গেছে কিছু জটিলতা: ঢামেক পরিচালক
আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দুদকের
আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দুদকের
“নজরুল আজও উপেক্ষিত, গবেষণা নেই বললেই চলে” — জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শামসুজ্জামান দুদু
“নজরুল আজও উপেক্ষিত, গবেষণা নেই বললেই চলে” — জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শামসুজ্জামান দুদু
২০২৬ সালের পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে ক্রয় প্রক্রিয়ার সময়সীমা কমানোর প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন
২০২৬ সালের পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে ক্রয় প্রক্রিয়ার সময়সীমা কমানোর প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন
“প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে”—এনবিআর চেয়ারম্যান
“প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে”—এনবিআর চেয়ারম্যান
কোনোদিন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিইনি, শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাই: ফজলুর রহমান
কোনোদিন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিইনি, শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাই: ফজলুর রহমান
সর্বশেষ খবর
দোহায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, কাতারের তীব্র প্রতিবাদ
দোহায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, কাতারের তীব্র প্রতিবাদ

এই মাত্র | আন্তর্জাতিক

পরীমনি আদালতে অনুপস্থিত, সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
পরীমনি আদালতে অনুপস্থিত, সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

এই মাত্র | আইন-আদালত

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা
নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা

এই মাত্র | আন্তর্জাতিক

ময়মনসিংহে জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি বিষয়ক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ময়মনসিংহে জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি বিষয়ক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এই মাত্র | সারাদেশ

বরিশালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বরিশালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

এই মাত্র | সারাদেশ

যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ
যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ

এই মাত্র | আন্তর্জাতিক

রুট-বেথেলের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের রানের রেকর্ড
রুট-বেথেলের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের রানের রেকর্ড

এই মাত্র | খেলাদুলা

চবি জমি নিয়ে ‘জমিদার’ মন্তব্য: হাটহাজারী উপজেলা আমিরকে অব্যাহতি দিল জামায়াতে ইসলামী
চবি জমি নিয়ে ‘জমিদার’ মন্তব্য: হাটহাজারী উপজেলা আমিরকে অব্যাহতি দিল জামায়াতে ইসলামী

এই মাত্র | সারাদেশ

প্রত্যেক পরিবারকে স্বনির্ভর করাই সরকারের লক্ষ্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রত্যেক পরিবারকে স্বনির্ভর করাই সরকারের লক্ষ্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

এই মাত্র | সারাদেশ

বিএনপির আমিনুল হক: দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত
বিএনপির আমিনুল হক: দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত

এই মাত্র | রাজনীতি

জাকসু ও হল নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আট দফা ইশতেহার ঘোষণা
জাকসু ও হল নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আট দফা ইশতেহার ঘোষণা

এই মাত্র | রাজনীতি

রাঙ্গাবালীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার
রাঙ্গাবালীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার

এই মাত্র | সারাদেশ

পাইকগাছায় টেকসই বেড়ীবাঁধ ও সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
পাইকগাছায় টেকসই বেড়ীবাঁধ ও সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

এই মাত্র | সারাদেশ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, কাকরাইলে সংঘর্ষ-ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, কাকরাইলে সংঘর্ষ-ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

এই মাত্র | রাজনীতি

ডিএমপির সংক্ষিপ্ত বিচার আদালতে ছয় মাসে ৫৫৫৮ মামলা নিষ্পত্তি, সাজা পেয়েছেন ২৭৭১ জন
ডিএমপির সংক্ষিপ্ত বিচার আদালতে ছয় মাসে ৫৫৫৮ মামলা নিষ্পত্তি, সাজা পেয়েছেন ২৭৭১ জন

এই মাত্র | আইন-আদালত

বাগমারায় খাদ্যগুদামে পচা চাল মজুতের অভিযোগে উপ-পরিদর্শক বরখাস্ত
বাগমারায় খাদ্যগুদামে পচা চাল মজুতের অভিযোগে উপ-পরিদর্শক বরখাস্ত

এই মাত্র | অপরাধ

সিংগাইরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ২
সিংগাইরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ২

এই মাত্র | সারাদেশ

রাবিতে শিবির অনুপ্রবেশ ও সাইবার বুলিং ইস্যুতে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন, বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে মামলা
রাবিতে শিবির অনুপ্রবেশ ও সাইবার বুলিং ইস্যুতে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন, বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে মামলা

এই মাত্র | জাতীয়

সার্বাধিক পঠিত
বরিশালে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা
বরিশালে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

এই মাত্র | সারাদেশ

বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় ফ্যাসিবাদের দোসর শফিউর রহমানের নাম
বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় ফ্যাসিবাদের দোসর শফিউর রহমানের নাম

এই মাত্র | খেলাদুলা

চিংড়ি চাষে জাতীয় স্বর্ণপদক পাওয়ায় রিপনকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা
চিংড়ি চাষে জাতীয় স্বর্ণপদক পাওয়ায় রিপনকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা

এই মাত্র | সারাদেশ

সিগারেট নাকি জর্দা—কোনটা বেশি ক্ষতিকর?
সিগারেট নাকি জর্দা—কোনটা বেশি ক্ষতিকর?

এই মাত্র | জাতীয়

“নজরুল আজও উপেক্ষিত, গবেষণা নেই বললেই চলে” — জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শামসুজ্জামান দুদু
“নজরুল আজও উপেক্ষিত, গবেষণা নেই বললেই চলে” — জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শামসুজ্জামান দুদু

এই মাত্র | জাতীয়

হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে বিএনপি নেতা নজরুল-সালাহউদ্দিন
হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে বিএনপি নেতা নজরুল-সালাহউদ্দিন

এই মাত্র | জাতীয়

ধানমন্ডিতে ১২ বছরের গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
ধানমন্ডিতে ১২ বছরের গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

এই মাত্র | অপরাধ

প্রকাশিত সাংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সাংবাদের প্রতিবাদ

এই মাত্র | সারাদেশ

নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, রয়ে গেছে কিছু জটিলতা: ঢামেক পরিচালক
নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, রয়ে গেছে কিছু জটিলতা: ঢামেক পরিচালক

এই মাত্র | জাতীয়

রাঙ্গাবালীতে সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাঙ্গাবালীতে সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

এই মাত্র | সারাদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাবির সাবেক সহকারী অধ্যাপক জনি গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাবির সাবেক সহকারী অধ্যাপক জনি গ্রেফতার

এই মাত্র | জাতীয়

১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর 'বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড', দুধ উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় আসবে শৃঙ্খলা
১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর 'বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড', দুধ উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় আসবে শৃঙ্খলা

এই মাত্র | অর্থনীতি

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা: হামাস মুখপাত্র আবু ওবায়দাকে লক্ষ্য করে হামলা, নিহত ৭
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা: হামাস মুখপাত্র আবু ওবায়দাকে লক্ষ্য করে হামলা, নিহত ৭

এই মাত্র | আন্তর্জাতিক

রোবট দেবে জন্ম মানবশিশুর!
রোবট দেবে জন্ম মানবশিশুর!

এই মাত্র | আন্তর্জাতিক

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এই মাত্র | জাতীয়

মাতৃত্ব ও সংসার নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন জাহ্নবী কাপুর, জানালেন তিন সন্তানের ইচ্ছার কথা
মাতৃত্ব ও সংসার নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন জাহ্নবী কাপুর, জানালেন তিন সন্তানের ইচ্ছার কথা

এই মাত্র | বিনোদন

রহস্যে মোড়ানো সৌন্দর্য: বগালেক এখন পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য
রহস্যে মোড়ানো সৌন্দর্য: বগালেক এখন পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য

এই মাত্র | সারাদেশ

পাইকগাছায় পোনা মাছ অবমুক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন
পাইকগাছায় পোনা মাছ অবমুক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন

এই মাত্র | অর্থনীতি

সার্বাধিক প্রিন্ট
বরিশালে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা
বরিশালে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় ফ্যাসিবাদের দোসর শফিউর রহমানের নাম
বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় ফ্যাসিবাদের দোসর শফিউর রহমানের নাম

চিংড়ি চাষে জাতীয় স্বর্ণপদক পাওয়ায় রিপনকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা
চিংড়ি চাষে জাতীয় স্বর্ণপদক পাওয়ায় রিপনকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা

সিগারেট নাকি জর্দা—কোনটা বেশি ক্ষতিকর?
সিগারেট নাকি জর্দা—কোনটা বেশি ক্ষতিকর?

“নজরুল আজও উপেক্ষিত, গবেষণা নেই বললেই চলে” — জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শামসুজ্জামান দুদু
“নজরুল আজও উপেক্ষিত, গবেষণা নেই বললেই চলে” — জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শামসুজ্জামান দুদু

হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে বিএনপি নেতা নজরুল-সালাহউদ্দিন
হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে বিএনপি নেতা নজরুল-সালাহউদ্দিন

ধানমন্ডিতে ১২ বছরের গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
ধানমন্ডিতে ১২ বছরের গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

প্রকাশিত সাংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সাংবাদের প্রতিবাদ

নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, রয়ে গেছে কিছু জটিলতা: ঢামেক পরিচালক
নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, রয়ে গেছে কিছু জটিলতা: ঢামেক পরিচালক

রাঙ্গাবালীতে সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাঙ্গাবালীতে সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাবির সাবেক সহকারী অধ্যাপক জনি গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাবির সাবেক সহকারী অধ্যাপক জনি গ্রেফতার

১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর 'বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড', দুধ উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় আসবে শৃঙ্খলা
১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর 'বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড', দুধ উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় আসবে শৃঙ্খলা

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা: হামাস মুখপাত্র আবু ওবায়দাকে লক্ষ্য করে হামলা, নিহত ৭
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা: হামাস মুখপাত্র আবু ওবায়দাকে লক্ষ্য করে হামলা, নিহত ৭

রোবট দেবে জন্ম মানবশিশুর!
রোবট দেবে জন্ম মানবশিশুর!

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মাতৃত্ব ও সংসার নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন জাহ্নবী কাপুর, জানালেন তিন সন্তানের ইচ্ছার কথা
মাতৃত্ব ও সংসার নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন জাহ্নবী কাপুর, জানালেন তিন সন্তানের ইচ্ছার কথা

রহস্যে মোড়ানো সৌন্দর্য: বগালেক এখন পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য
রহস্যে মোড়ানো সৌন্দর্য: বগালেক এখন পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য

পাইকগাছায় পোনা মাছ অবমুক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন
পাইকগাছায় পোনা মাছ অবমুক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন

Advertisement